নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোহেল অভিজিৎ রায় হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছিল। সে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অভিজিৎ রায় হত্যার সময়কার ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। এরপর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেসবুক পেজে সোহেলসহ ছয়জনের ছবি দিয়ে তাদের ধরিয়ে দিতে বলা হয়।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বেরিয়ে বাসায় ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের কোপে খুন হন অভিজিৎ রায়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা আহত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে অভিজিৎ থাকতেন যুক্তরাষ্ট্রে। বইমেলা অংশ নিতে তিনি দেশে এসেছিলেন। লেখালেখির কারণে জঙ্গিদের হুমকির মুখেও পড়েন এ ব্লগার।
এই ঘটনায় অভিজিতের বাবা শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন, তাতে এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারাগারে থাকা আসামিরা হলেন মো. তৌহিদুর রহমান গামা, শফিউর রহমান ফারাবী, সাদেক আলি মিঠু, আমিনুল মল্লিক, জুলহাস বিশ্বাস, মো. জাফরান হাসান ও মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্না রাহী।