নিউজ ডেস্ক : রাজকার-আলবদর, যুদ্ধাপরাধী, খুনি, দুর্নীতিবাজ ও ইতিহাস বিকৃতিকারীরা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। আগামীর বাংলাদেশ হবে অর্থনৈতিক মুক্তির ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ। যা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণেই বলা আছে। শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়ায় রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
সমাবেশের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা বলেন, রাজাকার, আলবদর, যুদ্ধাপরাধী, খুনি, দুর্নীতিবাজ এবং ইতিহাস বিকৃতিকারীরা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সে জন্য খেয়াল রাখতে হবে। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, সমাবেশে আগামী প্রজন্মের অনেক ছেলে-মেয়ে এখানে উপস্থিত রয়েছে। বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ যে ভাষণ দিয়েছিলেন তা তাদের জানতে হবে বুঝতে হবে, অনুধাবন করতে হবে। কেননা এই ভাষণেই বলা আছে ভবিষ্যত বাংলাদেশ কেমন হবে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর এই ভাষণকে নিষিদ্ধ করা হয়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারেনি। যারা এই ভাষণ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলো, তাদের অবস্থা আজ কী? তারা এখন কোথায় মুখ লুকাবে?
‘কিন্তু ইতিহাস কখনও মুছে ফেলা যায় না। ইউনেস্কোর এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।’
এর আগে বিকেল ৩টার কিছু আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ স্থলে পৌঁছান শেখ হাসিনা। পরে তিনটায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। তবে এর দুপুর থেকেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।