নিউজ ডেস্ক: অপারেশনের জন্য চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহৃত ওষুধ জি-কেটামিন এখন মাদক হিসেবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হচ্ছে।
সেটাও আবার অভিনব কায়দায়।
তরল এই ড্রাগকে বিশেষ আকারে সাদা তোয়ালেতে করে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে।
গত সোমবার ঢাকা থেকে এমন একটি চক্র গ্রেফতার করে র্যাব। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন গ্রেফতার চক্রটি বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে মাদক চোরাচালান করত।
কেটামিন কেন বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে?
জাতীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্য ডা. অরুপ রতন চৌধুরি বলছিলেন জি-কেটামিন মূলত ‘লোকাল এনেসথেসিয়া’ বা চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয় যেকোন অপারেশনের ক্ষেত্রে।
বাংলাদেশে এই ড্রাগ যেকোন ওষুধের দোকানে পাওয়া যায়। দাম অনেক কম। কিন্তু বিদেশে এই ওষুধ ওভার দ্যা কাউন্টার বা প্রেসক্রিপশন ছাড়া পাওয়া যায় না।
সেটা একটা বড় কারণ সুলভ মূল্যে সহজে বাংলাদেশে এই কেটামিন পাওয়া যাচ্ছে। আরেকটি কারণ বিদেশে এর চাহিদা রয়েছে ।
পার্টি ড্রাগ হিসেবে। দামও অনেক বেশি পাওয়া যায়।
মি. চৌধুরী বলছিলেন “যারা এই ড্রাগ নেয় তাদের হেলুসিনেশনের মত হয়। যেমন ধরেন আমরা বলি গান শুনছি, সে বলবে আমি গান দেখছি। ঘুম হয় বেশি”।
প্যাথেডিন, মরফিন এসব ড্রাগের ব্যবহারের কথা শোনা গেলেও কেটামিনের ব্যবহারের কথা নতুন শোনা যাচ্ছে।
অভিনব কায়দায় পাচার
র্যাব বলছে তারা যে চক্রটিকে গ্রেফতার করেছে তাদের কেটামিন পাচারের গন্তব্য দেশ ছিল স্পেন।
ইউরোপ-আমেরিকাতে এই ড্রাগের চাহিদা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে যে পন্থায় এটা পাচার করা হচ্ছে সেটাই চমক সৃষ্টি করেছে খোদ চিকিৎসক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে।
ডা. অরুপ রতন চৌধুরি বলছিলেন “কেটামিনকে অনেকক্ষণ পানির মধ্যে গরম করা হয়। গ্যাসটা যখন বের হয়ে যায়, সেটাকে তখন গরম করে ড্রাই করে তোয়ালের মধ্যে পেঁচিয়ে তারা পাঠায়। গন্তব্য দেশে পাচার হওয়ার পর তারা আবার সেটাকে লিকুইড আকারে নিয়ে আসে”।
– বিবিসি বাংলা