বোরহান উদ্দীন: সকাল ৮ টার সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের লঞ্চে উঠলাম, তিন ঘন্টার লঞ্চ জার্নি শেষে সকাল ১১ টায় নামিয়ে দিলো চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে। লঞ্চের ডেকে ভাড়া সব লঞ্চেই ১০০ টাকা করে নিবে। চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট থেকে বের হলেই দেখতে পাবেন সিএনজি, অটো রিক্সা। সিএনজি অথবা অটোরিক্সায় চড়ে চলে যাবেন বাস কাউন্টারে ভাড়া ১৫ টাকা করে নিবে জনপ্রতি। বাস কাউন্টার থেকে বাসে করে চলে যাবেন চাঁদপুরের সুন্দর থানা হাজীগঞ্জে। হাজীগঞ্জ ভাড়া নিবে বাসে জনপ্রতি ১৫ টাকা করে।
হাজীগঞ্জে বড় মসজিদ আছে সেটা দেখার মতো সুন্দর করে বানানো হয়েছে। অনেক সুন্দর কারুকাজ করা মসজিদটি। হাজীগঞ্জ থানা ঘুরে সেখান থেকে ১ টার মধ্যেই আপনি সিএনজি করে চলে আসতে পারেন গাছতলা ব্রীজে, যে ব্রীজ ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত। ভাড়া নিবে জনপ্রতি ৩০ টাকা করে। দুই পাশে সুন্দর সারি সারি গাছ, পুরো নতুন রাস্তাসহ ব্রীজ টা অনেক বেশি সুন্দর লাগে। সেখানে চাইলে কিছু সময় কাটাতে পারেন ভালো লাগবে।
ব্রীজের নিচেই রয়েছে কাঁশফুল। তারপর ব্রীজের পাশে থেকেই অটো/সিএনজিতে করে আপনি যেতে পারেন চাঁদপুরের নাম করা ওয়ান মিনিট আইসক্রীম খেতে। গাছতলা ব্রীজ থেকে ওয়ান মিনিট আইসক্রীম পর্যন্ত ভাড়া ২০ টাকা। চাঁদপুরের নাম করা আইসক্রীম, নিজেদের হাতে বানানো। দাম মাত্র ৪০ টাকা নিবে। দুপুরের লাঞ্চ করবেন সরষে ইলিশ দিয়ে ১২০ টাকার মধেই সেরে নিতে পারবেন। লাঞ্চ শেষ করে ৩ টার দিকে চলে যাবেন বড় স্টেশন ইলিশ বাজারে। ইলিশ বাজার পুরো ঘুরে দেখবেন, তার পাশেই তিন নদীর মোহনা। নদীর ঘাট থেকে ৪৫০-৬০০ টাকার মধ্যে ইঞ্জিন চালিত নৌকা পাওয়া যায় নদীর মাঝখানে চরে যাওয়ার জন্য। সাথে তিন নদীর মোহনাও খুব কাছ থেকে উপভোগ করতে পারবেন।
কিছু সতর্কতা:
অটো/সিএনজি যেটাতেই উঠবেন আগে ভাড়া জিঞ্জেস করে নিবেন। না হয় পরবর্তীতে সাথে চালকের তর্কাতর্কি হতে পারে। ইঞ্জিন চালিত নৌকা রিজার্ভ করার আগে দামাদামি করে নেন। লঞ্চের ক্যান্টিন থেকে কিছু কিনে খাবেন না কারন তারা গলা কাঁটা দাম রাখে। লঞ্চে ঘুরাঘুরির সময় সময় একদম সাইডে যাবেন না।
লেখক: বোরহান উদ্দীন।