নিউজ ডেস্ক: ইমতিয়াজ হোসেন তান্না – ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় পারফরমারদের একজন। সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও করেছেন প্রচুর রান। তবে, কোনো একটা অদ্ভুত কারণে খুব একটা আলোচনায় আসেন না কখনোই। এবার ইমতিয়াজ হোসেন তান্না মুখোমুখি হয়েছেন ৩২ বছর বয়সী ডান হাতি এই ব্যাটসম্যান।
সাম্প্রতিক সময়ে ঘরোয়া লিগে নিয়মিত পারফর্ম করে যাচ্ছেন?
আসলে এখন ঘরোয়া লিগেও অনেক কমপিটিশন। লিগে পারফরম করতে না পারলে দল পাওয়া কঠিন। ভালো না খেললে ঘরোয়া লিগেও এখন খেলা সম্ভব না। এজন্য চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দেয়ার। সব সময়ই নিজের ভেতর একটা জিনিস কাজ করে, পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা বজে রাখার। তবে ধারাবাহিকতা ধরে রাখাটা অনেক টাফ। এজন্য মানসিক ভাবে অনেক স্ট্রং হতে হয়। এটা সত্যি অনেক চ্যালেঞ্জিং। প্রতি মৌসুমেই প্লান করি, যেন তিনটা টুর্নামেন্ট পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি। অনেক সময় সেটা হয়ও না। কিন্তু চেষ্টা কিন্তু অব্যাহত থাকে।
এই গরমে পারফরম্যান্স করতে সমস্যা হয় না?
সত্যিই এই গরমে মাঠে পারফরম করা অনেক কঠিন। তবে আমাদের প্রাইম দোলেশ্বরের টিম ম্যানেজম্যান্টের কারণে এটা আমাদের কাছে সমস্যা মনে হয়না। কারণ ম্যানেজম্যান্ট খুব ভালো কেয়ার করে। ধরেন, খাওয়া দাওয়া অনেক ভালো। তারপরে ট্রেনারও ভালো ছিলো। ফিজিও ছিলো জয়। ও অনেক ভালো মানের, হেল্পফুল। খেলোয়াড়দের প্রতি ম্যানেজমেন্ট খুব কেয়ার থাকায় পুরো সিজনে আমাদের কোন প্লেয়াড়কে ইনজুরির কারণে বসে থাকতে হয়নি। তাছাড়া আমাদের আইসবাথের সুব্যবস্থা ছিলো, এই গরমে এটা অনেক বড় একটা অ্যাচিভমেন্ট। ধরেন ফিল্ডিং করে এসে আইসবাথ করলে সব ঠিক হয়ে যেত। মনেই হতো না যে, একটু আগে গরমে হাসফাস করছি।
রান করার জন্য বাড়তি কোন পরিশ্রম করতে হয়েছে কি?
আসলে গত বছর ফিটনেস নিয়ে কাজ করায় খুব কাজে দিয়েছে। এই বছরও লিগ শুরুর আগে ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজ করেছি। যার কারণে বড় বড় ইনিংস খেলতে তেমন সমস্যা হয়নি। তাছাড়া আপনিও জানেন ক্রিকেট খেলতে ভাগ্যও লাগে। বলতে পারেন ভাগ্য ফেবার করায় হয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরেই প্রাইম দোলেশ্বর চ্যাম্পিয়নের জন্য ফাইট দিয়ে যাচ্ছে, এবারও দিলো?
আসলে আমিতো গত দুই বছর এই ক্লাবটাতে খেলেছি। তার আগে এখানে খেলিনি। এই দুই বছরে আমি দেখেছি, আমাদের দলের টিম কম্বিনেশনটা খুব ভালো। মানি আমাদের দলে তেমন বড় কোন নাম নেই। গত বছর নাসির হোসেন ছাড়া নামি কোন খেলোয়াড় ছিলো না। এবার শাহরিয়ার নাফিস, মার্শাল, আমিসহ একটা টিম হিসেবে আমার ভালো খেলেছি। তাছাড়া অধিনায়ক হিসেবে ফরহাদ রেজা খুব ভালো। ও ভালো খেলোয়াড়ের পাশাপশি খুব ভালো লিডারও। তাছাড়া কোচ বাবুল (মিজানুর রহমান বাবুল) স্যার অনেক ভালো মানের। তিনি যে রকম মোটিভেট করেছেন, যেরকমন পরামর্শ দিয়েছেন, আমরা সেরকম খেলেছি। আর আমাদের বিশ্বাস ছিলো এই টিম নিয়ে চ্যাম্পিয়ন ফাইট দেয়ার। সেটা আমরা করেছিও। যদি আরো একটা ম্যাচ জিততাম তাহলে আমরা চ্যাম্পিয়নই হতাম। ক্লোজ ম্যাচ আমরা হারছি। বিশেষ করে ম্যানেজমেন্ট খুব ভালো। দলে খেলোয়াড়দের উপর কোন বাড়তি প্রেসার নেই। পারিশ্রমিক নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা নেই। কোচ সব সময়ই বলেন, তোমরা তোমাদের মতো করে খেল। মূল কথা হলো পারিশ্রমিক নিয়ে কোন ঝামেলা না থাকায় সব খেলোয়াড়দের ফোকাস মাঠের ক্রিকেটেই ছিলো। অন্য কোনো চিন্তা কাজ করে নি।
এর আগেও একটা মৌসুমে ভালো করেছেন, কিন্তু বিসিবির কোন টিমে সুযোগ হয়নি।
হ্যা, সম্ভবত ২০০৮ সালে। সেবার ঘরোয়া লিগে আমার খুব ভালো একটা মৌসুম গিয়েছিলো। তখন বিসিবির একাডেমির দলের হয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চারদিনের একটা ম্যাচ খেলেছিলাম। তবে সেভাবে ভালো যায়নি।
এবার এইচপিতে সুযোগ পেলেন?
প্রিমিয়ারে গত দুই বছর ধরেই ভালো করছি। যে কারণে আমাকে এইচপিতে রাখা হয়েছে। ক্যাম্প করছি। বিসিবির নির্বাচকর আমাকে যে সুযোগ দিয়েছেন, আমি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চাই। এই এইচপির টিম থেকেই শুনেছি একটা ‘এ’ দল গঠন করা হবে। সেটার জন্য ভালো করে পরিশ্রম করছি। নিজেও ফর্মে আছি, দেখা যাক কি হয়! এখন নির্বাচকরা যদি মনে করেন তাহলেই নিবেন।
এবার আপনার ক্রিকেটার হয়ে উঠার গল্প যদি শোনান, কোথা থেকে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু?
আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু সিলেটে। সেখানেই আমার জন্ম। স্কুল ক্রিকেট দিয়ে আমার ক্রিকেট শুরু। সম্ভবত ১৯৯৮ সালে, তখন আমি অষ্টম শ্রেনীতে পড়ি। সে সময় নির্মান স্কুল ক্রিকেট নামে একটা টুর্নামেন্ট হতো। সেই টুর্নামেন্ট দিয়েই আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু। এরপর সিলেটের হয়ে প্রথম বিভাগে খেলেছি। যেখানে অধিনায়ক ছিলেন পারভেজ ভাই, দলে সিনিয়র ছিলেন ইমন ভাই। তাদের সাথে খেলেছি। আমি ঢাকায় খেলার আগে জাতীয় লিগে খেলছি। সেটা ২০০৩/৪ সালে হবে। যে বছর থেকে প্রথম শ্রেনীর ম্যাচগুলো কাউন্ট হয়, সে বছর থেকেই আমি খেলেছি। তারপর জাতীয় লিগে ভালো করার পর ঢাকায় কলাবাগানের হয়ে ২০০৫ সালে প্রিমিয়ার লিগে খেলেছি। ঢাকা ফাস্ট ডিভিশনে আমি মাত্র দুইটা ম্যাচ খেলেছি, স্কাটনের হয়ে। পরে প্রিমিয়ার লিগে খেলেছি।
কার হাত ধরে ক্রিকেটে হাতে খড়ি?
আমি কোন বিকেএসপি বা কোন কোচিংয়ে অধীনে ছিলাম না। সিলেটের কোচ ইমন ভাইয়ের হাত ধরেই ক্রিকেট শেখা আমার। তখন ইমন ভাই প্রিমিয়ারে কোচ ছিলেন, তাছাড়া সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে পারভেজ ভাই ছিলেন। তাদের কাছ থেকে শিখেছি। ওনাদের হাত ধরে ক্রিকেটার হওয়া।
কখন থেকে মনে হলো ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে নেয়া যায়?
এইটা আসলে ক্যারিয়ার শুরুর তিন বছর পর। যখন ঢাকাতে প্রিমিয়ার লিগে খেলি। তখন মনে হয়েছে ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে নিলে খারাপ হয় না। কারণ তখন দুই বছর খেলার কারণে পড়াশুনায় গ্যাপ পড়ে যায়। তখন আর পড়াশুনা হয় নাই। পড়াশুনায় ব্যাক করা সম্ভব না হওয়ায় ২০০৬ সাল থেকে ক্রিকেটকেই পেশা হিসেবে নিয়েছি। এছাড়া আর কোন উপায় ছিলো না।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আপনার ক্রিকেট রোল কি ছিলো?
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ওপেনার ছিলাম। আমি ওপেনিংয়ে খেলতে বেশি পছন্দ করতাম। সেটাই এখনও করে আসছি। এখানে খেলতেই আমার বেশি ভালো লাগে।
আগেতো বোলিং করতেন, এখন…
বোলিংতো করতাম আগ থেকেই। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অফস্পিন করেছি। গত দুই বছর আগেও প্রিমিয়ার লিগে আমার ৮/১০টা উইকেট ছিলো। সর্বশেষ দুই বছর আসলে, প্রাইম দোলেশ্বরে অফস্পিনার বোলার একটু বেশি ছিলো। যার, কারণে আমার বোলিংয়ের অপশন খুব কম ছিলো। যার কারণে সেভাবে বোলিং করা হয়নি।
অপশন না পেয়ে বোলিং ছেড়ে দিয়েছেন?
বোলিং ছাড়ি নাই। এখনও বোলিং করি। মানি দরকার না হলে তো আর করা হয় না। নিয়মিত না আরকি। তবে অফস্পিনটা খুব পছন্দ করি। বিশেষ করে আমার ওয়ানডেতে বোলিং করতে ভালো লাগে।
বয়স ভিত্তিক দলে আপনার খেলার অভিজ্ঞতা যদি বলেন?
আসলে আমি কোন বয়স ভিত্তিক দলেই খেলিনি। অনূর্ধ্ব-১৭ ন্যাশনালে দলে সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছিলো। খেলায়নি। একই অবস্থা ছিলো অনূর্ধ্ব-১৯ ন্যাশনালেও, অতিরিক্ত তালিকায় ছিলাম। এরপর আসলে আর খেলা হয়নি। তবে ‘এ’ দলের হয়ে সম্ভবত ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একটা ম্যাচে খেলেছিলাম। বয়স ভিত্তিক দলে বলতে পারেন এটাই আমার কোন ম্যাচ।
গুঞ্জন আছে, আপনি দেশের বাইরে সেটেল হয়ে আছেন? সেটা কতোটা সত্যি?
না না না, আমিতো দেশের বাইরে যাই নাই। একবার গেছিলাম ২০০৮ সালে, তিন মাসের জন্য। অপ সিজনে গেছিলাম। আবার সিজন শুরুর আগে চলে এসেছি।
দেশের ক্রিকেটে সেটেল হওয়ার জন্য নিজে কতোটা প্রস্তুত হচ্ছেন?
আসলে আমারতো ভাই আর কোন অপশনই নাই, ক্রিকেট খেলা ছাড়া। না আছে আমার কোন বিজনেস। না সেভাবে পড়ালেখা করেছি। যতোদিন ফিটনেস আছে, ততদিন ক্রিকেটই খেলতে হবে আমাকে। এছাড়া কোন অপশন নেই।
জাতীয় দলে ঢোকার জন্য নিজেকে কতোটা প্রস্তত করছেন?
এখন পর্যন্ত নিজের পারফরম্যান্স বলেন, আর ফিটনেস বলেন। আমি নিজেকে নিয়ে সেটিসফাইড আছি। ইনশাআল্লাহ আরো বেশ কিছু দিন ক্রিকেট খেলে যেতে পারবো। এখন এইচপিতে আছি। এখানে অনেক হার্ডওয়ার্ক হয়। নিজের যা ল্যাকিংস আছে, ওই গুলো কাভার করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস। আর গুরুত্বপূর্ণ হলো, নিজের যা ফিটনেস আছে, এইচপিতে থেকে সেটার উন্নতি করা। ফিটনেস ভালো থাকলে আমার মনে হয় আরো কয়েক বছর ক্রিকেট খেলাটা চালায় যাইতে পারব।
গত বছর প্রিমিয়ারে ভালো খেলার পরও বিপিএলে দল পাননি, এটা কতোটা হতাশার?
বিপিএলে আমি এক বছর সিলেটের হয়ে খেলেছি। বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে। ঐ বছরও আমি সেভাবে ম্যাচ খেলতে পারিনি। দলের কম্বিনেশনের কারণে সেরা একাদশে সুযোগ পাইনি। ওই বছর আমাদের বিদেশি ওপেনারই বেশি ছিলো। এছাড়া দেশি ওপেনার ছিলো, আর ওই জায়গায় আর কি আমার জন্য টাফ ছিলো। ঐ বছরটায় আমি সেভাবে পারফরম্যান্সও করি নাই, যে আমার চিন্তা ভাবনা করার। তবে গত বছর আমি হতাশ হয়েছে। গত বছর এত রান করার পরও বিপিএলে দল পাইনি, এটা আমার জন্য খুব হতাশাজনক ছিলো। আমার কাছে খুব খারাপ লাগছে।
বিপিএলের মাধ্যমে তরুণদের অনেকেই জাতীয় তারকা হয়েছে…
আসলে ভাই, গতবারেরটা আমি খুভ হতাশ হয়েছি। মানে আমি কল্পনাও করতে পরিনেই যে, আমি খেলতে পারব না। আপনারাই দেখেছেন নিশ্চয়ই, অনেকে তেমন নজর কাড়া পারফরম্যান্স না করেই দল পেয়েছে। তো এই জিনিসটা অনেক খারাপ লাগে। আমার থেকে যদি একজন ভালো প্লেয়ার খেলে, তখন নিজেকে বোঝানো যায় যে হ্যা, ওর খেলাটা উচিত। প্রত্যাশিত ডাক পেয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু প্লেয়ার যারা খেলেছে, তাদের দেখলে আরো বেশি খারাপ লাগে। যে এদের চেয়েতো অ্যাটলিস্ট আমার চান্স পাওয়া উচিত ছিলো।
বিপিএলে দল না পাওয়ার পেছনে আপনার কাছে কি মনে হয়?
বিপিএলটা আসলে বোঝা যায় না। বিপিএল আমার কাছে মনে হয়, পরিচিতির মধ্যে অনেক টিম হয়ে যায়। এজন্য পারফরম্যান্স করেও অনেক খেলোয়াড় টিম পায় না। দলে না পেয়ে হতাশই হয়েছি। তবে দিন শেষে চিন্তা করে দেখি যে, হতাশ হলে নিজেরই ক্ষতি। কারণ তখন নিজের থেকে আরো অনেক পিছিয়ে যাবো। ধরেন এখন যে মুডে প্রাকটিস করছি, সেটায় তখন ব্যঘাত ঘটবে। এগুলো নিয়ে চিন্তা না করে চেষ্টা করে যাওয়াই বেটার। কপালে থাকলে একদিন হবে। এটাই আমার মূল চিন্তা।
ক্রিকেট ক্যারিয়ারে আপনার সেরা সময়?
সেরা সময় বললে, মোহামেডানে যেবার ফাস্ট খেললাম। সম্ভবত ২০০৮ সালে। যেবার মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। সেবার আমি আর জুনায়েদ সিদ্দিকী ওপেনিংয়ে খেলেছিলাম। সেবার আমার খুব ভালো গেছে। সেবার পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে আমি অনেক রান করছিলাম। ফাইনালে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলাম।
ক্যারিয়ারের বাজে কোন ঘটনা?
বাজে কোন ঘটনা বলতে, সময়টা আমার ঠিক মনে নেই। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে খেলার ব্যাপারে আমি মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম। শেষ দিন দেখি আমি দলে নেই। ঐ সময় আমার বয়সও কম ছিলো। তখন শেষ মুহুর্তে দলে সুযোগ না পেয়ে খুব হতাশ হয়েছিলাম। মনও অনেক খারাপ ছিলো। তখন আমি হতাশায় ভেঙ্গে পড়ছিলাম, মনে হয়েছে আমাকে দিয়ে আর হবে না। তখন মনে হয় এশিয়া কাপের জন্য এশিয়ার কোন দেশে ট্যুর ছিলো। ঐ সময়টা খুব খারাপ লাগছিলো আর কি।
এখন নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
দেখি ভাই কি হয়! পারফরম্যান্সতো করছি। প্রিমিয়ারে ভালো করেছি। এইচপিতে পারফরম করছি। আশা আছে টপ লেভেলে খেলার। দেশের হয়ে খেলার। যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে এবং নির্বাচকরা যদি চান তাহলে ইনশাআল্লাহ হতে পারে।
ক্রিকেট থেকে বিদায় নেয়ার পর কি করবেন ভাবছেন?
হাসি, আসলে এখনও ওভাবে চিন্তা করিনি। পরিকল্পনা আছে ক্রিকেটেই পড়ে থাকবো।
ঘরোয়া লিগে যেসব টিমে খেলার স্বপ্ন দেখছেন, সেই স্বপ্ন কি পূরণ হয়েছে?
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে স্বপ্ন ছিলো আবাহনী-মোহামেডানের মতো বড় বড় দলে খেলার। মোহামেডানে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এই ক্লাবের হয়ে আমি তিন বছর খেলেছি। তো আবাহনীতে এখনও খেলতে পারিনি। আবাহনীতে এক বছর খেলার ইচ্ছা আছে। যদি তারা চায়। আর মোটামুটি ধরেন পুরানা নামকরা যেসব ক্লাব আছে, সেগুলোতে খেলেছি। ছোট থাকতে যেসব ক্লাবকে বিশাল কিছু মনে হয়েছে, সেসব ক্লাবে খেলে ফেলেছি। শুধু আবাহনীতেই খেলা বাকি আছে।