স্পোর্টস ডেস্ক: সকালে টস ভাগ্যটা যায় ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুটের পক্ষে। গ্যাবার এই উইকেটটা তৃতীয় দিন থেকে ভাঙা শুরু করবে, এটা জেনেই ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি রুট।
শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। তৃতীয় ওভারেই ফিরে যান অ্যালিস্টার কুক। মিচেল স্টার্কের বলটা কুকের ব্যাট চুমু খেয়ে জমা হয় পিটার হ্যান্ডসকম্বের হাতে। এরপর শুরু হয় ইংল্যান্ডের প্রতিরোধ। অসম ধৈর্য্য দেখান জেমস ভিঞ্চ ও মার্ক স্টোনম্যান। ৫১ ওভারের জুটিতে তাঁরা তোলেন ১৪৩ রান।
হাফ সেঞ্চুরি করেন ভিঞ্চ। এটা এই ব্যাটসম্যানের প্রথম অর্ধশতক। এর আগে সাতটি টেস্ট খেলা ভিঞ্চের সবোর্চ্চ রান ছিল ৪২! অপরপ্রান্তে হাফ সেঞ্চুরি করেন মার্ক স্টোনম্যানও। চা বিরতির ঠিক আগে ফিরে যান স্টোনম্যান। প্যাট কামিন্সের বুলেট গতির গোলা সামলাতে পারেনি তিনি। বোল্ড হয়ে ফিরে আসার আগে ১৫৯ বলে ৫৩ রান করেন এই ব্যাটসম্যান।
ফিরতে পারতেন জেমস ভিঞ্চও। নাথান লায়নের বল ব্যাট ছুয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে জমা হয়। বলটি ধরে রাখতে পারেননি টিম পেইন। ভিঞ্চের রান তখন ৬৮। বেশিক্ষণ অস্ট্রেলিয়ার মাথা ব্যথা হয়ে থাকতে পারেননি ভিঞ্চ। ব্যক্তিগত ৮৩ রানে নাথান নায়নের দারুণ এক থ্রোয়ে সাজঘরের পথ দেখেন তিনি।
দলীয় ১৬৩ রানে জো রুটকে ফেরান কামিন্স। আম্পায়ার মরিস ইরাসমাস আউট না দিলে রিভিউ চেয়ে বসেন অসি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ১৫ রান করেন ইংল্যান্ড দলনেতা রুট। দিনের বাকি সময়টুকু অবশ্য ডেভিড মালান ও মঈন আলি ভালোভাবেই পার করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স দুটি ও মিচেল স্টার্ক নেন একটি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস : ১৯৬/৪ (জেমস ভিঞ্চ ৮৬, মার্ক স্টোনম্যান ৫৩, ডেভিড মালান ২৮*, জো রুট ১৫, মঈন আলি ১৩*, কুক ২; কামিন্স ২/৫৯, স্টার্ক ১/৪৫)