নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় কোনো অশুভ শক্তি যদি কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়- লেখনীর মাধ্যমে তা প্রতিহত করার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা বিশিষ্ট সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালে সাংবাদিকরা কখনো নীরব থাকতে পারেন না। সাংবাদিকরা শুভ শক্তির পক্ষে থেকে গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতেও সাংবাদিকরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবিচল থাকবেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, বিএফইউজের সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, সিনিয়র সাংবাদিক ওমর কায়সার, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সহ-সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ ও বিএফইউজের যুগ্ম সম্পাদক তপন চক্রবর্তী।
প্রধানমন্ত্রীকে সাংবাদিকবান্ধব- সর্বোপরি জনবান্ধব উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলেই প্রথম বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। বর্তমান সরকারের আমলে অনেক মিডিয়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সবগুলো মিডিয়া সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে উল্লেখ করে ইকবাল সোবহান আরো বলেন, এখন আর কোনো এজেন্সি থেকে বলা হয় না- এই নিউজটা দেয়া যাবে না। রাতের টকশোগুলোতে সরকারের সমালোচনায় মুখর হলেও সরকার এটিকে বাক স্বাধীনতা হিসেবেই দেখছে। তবে একদিকে আমরা যেমন মিডিয়ার স্বাধীনতা চাই, অন্যদিকে মিডিয়া যাতে অপপ্রচার, মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির হাতিয়ার না হয় সেদিকে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের ঐতিহ্য ও সাহসী ভূমিকার কথা উল্লেখ করে ইকবাল সোবহান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাংবাদিকদের ঘাঁটি হিসেবে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অবস্থান দীর্ঘদিনের। সিইউজের কার্যক্রমও প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন নিয়ে জোর তৎপরতা চলছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের আবাসন সমস্যা সমাধানে তিনি সহযোগিতার আশ্বাস দেন।